কোটচাঁদপুর নাশকতার মামলায় গণমাধ্যম কর্মীসহ আসামী ১৯ জন
জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ রিপোর্টার:
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে নাশকতার অভিযোগে এক গণমাধ্যম কর্মীসহ ১৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩-০৭-২৪) এ মামলা করা হয়। তিন দিনে ওই মামলায় ৫ জনকে আটক করেছেন থানা পুলিশ। জানা যায়, নাশকতার অভিযোগে কোটচাঁদপুরে এক গণমাধ্যম কর্মীসহ ১৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এ ছাড়া ওই মামলায় অজ্ঞাত
আরো ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা নাম্বার -১২,তারিখ -২৩-০৭-২৪। কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
গেল তিন দিনে ওই মামলায় ৫ জনকে আটক করেছেন কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ। যার মধ্যে রয়েছে বলাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল আওয়াল, সলেমানপুরের রিপন শেখ, আর্দশ পাড়ার বাবলুর রহমান, এলাঙ্গী গ্রামের রাব্বি হাসান ও মল্লিকপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন। এদিকে নাশকতা মামলায়ও ১৯ নাম্বার আসামি করা হয়েছে কোটচাঁদপুর রিপোটার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বীর জনতা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল্লাহ বাশারকে। তাকে এ নাশকতা মামলায় জড়ানোয় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কোটচাঁদপুরে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা। এর মধ্যে রয়েছে কোটচাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক কাজী মৃদুল, কোটচাঁদপুর রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি অশোক দে, সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমার, কোটচাঁদপুর রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি আনোয়ার জাহিদ জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক রমজান আলী। এ ছাড়াও রয়েছেন সাংবাদিক আলমগীর খান, মঈন উদ্দিন খান, রেজাউল করিম, মোস্তাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, শহিদুল ইসলাম, রোকুনুজ্জামান, শওকত আলী। সাংবাদিক নেতারা অবিলম্বে গণমাধ্যম কর্মী আব্দুল্লাহ বাশারকে ওই মামলা থেকে প্রত্যহারের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের নিকট,বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যম কর্মী আব্দুল্লাহ বাশার বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। গেল ১৫ বছর যাবৎ আমি দলীয় কোন কার্যক্রমে অংশ গ্রহন করি নাই। বর্তমানে আমি সাংবাদিকতা আর কৃষি কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করি,এরপরও এ ধরনের মামলা হওয়ায় আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। আমি ওই মামলা থেকে আমার নাম প্রত্যাহার চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল- মামুন বলেন, নাশকতার অভিযোগে ১৯ কে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি আছে আরো ১৫/২০ জন। মামলায় এ পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। গণমাধ্যম কর্মীর নামে মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ মামলার জন্য ৫ সদস্যের কমিটি আছে। তারা মামলাটি দিয়েছেন। তিনি বলেন, এ ছাড়া ওই সময় আমি মামলায় যে গণমাধ্যম কর্মীর নাম আছে আমি বুঝতে পারি নাই। আমি জানতাম ওনার নাম বাশার খন্দকার। এটা ভূল বশত হয়ে গেছে।