বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি শহিদুল এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলার বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি প্রকৌশলী জনাব মোঃ শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ও প্রচার করার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ মোঃ নূরল ইসলাম খোদাদাদ, বড়থা গ্রামের জনৈক মোজাফ্ফর, মোজাম, মতিয়ার, মোফাজ্জলসহ তাদের সিন্ডিকেট বাহিনীর বিরুদ্ধে। উপরোক্ত ব্যক্তিদের বক্তব্য নিতে গেলে অধ্যক্ষ নুরল ইসলাম, মোজাম, মোফাজ্জলসহ সবাই জানান যে, জনাব মোঃ শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আমরা কোন নিউজ করি নাই, কোন বক্তব্য দেই নাই, জনাব মোঃ শহীদুল ইসলাম এলাকার একজন সৎ মানুষ, তিনি দল মতের উর্ধে থাকা মানুষ হিসাবে কোন দলের নেতৃত্ব দেন না, সকল মানুষের সাথে তিনি মিশে থাকা মানুষ। তিনি কেবলমাত্র সভাপতি হিসাবে নিয়োগের দিন ২৩/১২/২০২৩ই তারিখে বড়থা মাদ্রাসায় এসেছিলেন, ঐ এক দিনে জনাব শহীদুল ইসলাম কোনভাবেই এলাকা থেকে এককোটি বা তার কম সত্তর লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করতে পারেন না, বা কেহই ঐ টাকা দিতে পারার সামর্থ্য রাখেন না বিধায়, বড়থা পশ্চিম পাড়ার আওয়ামী/বিএনপি পন্থী ভন্ড মোজাফ্ফর ভন্ডামীমূলক কথাবার্তা বলে আবারো কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন, আমরা তার শাস্তি দাবী করছি। অধ্যক্ষ্ নুরল ইসলাম খোদাদাদ গত তিন দিন আগে মাদ্রাসায় যেয়ে, মোজাম, ইউনুস, আজাদসহ অনেকের সামনে দাবী করেন যে, ১। তিনি কোন ব্যক্তির নিকট থেকে এক টাকাও ঘুঁষ গ্রহন করেন নাই, ২। কেহই তাকে এক টাকা ঘুঁষ প্রদান করেন নাই, তবে, ৩। তিনি সভাপতিকে প্রায় সত্তর লক্ষ থেকে এক কোটি ঘুঁষের টাকা সরবরাহ করে সভাপতির নিকট ব্যাংক একাউন্টে জমা রেখেছেন, যার থেকে সভাপতি মাঝে মাঝে গ্রামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দান করে থাকেন। অধ্যক্ষের তিনটি দাবী পরষ্পর বিরোধী, প্রথম দুইটি সত্য হলে তৃতীয়টি মিথ্যা, তৃতীয়টি সত্য হলে প্রথম দুইটি মিথ্যা। অর্থাৎ অধ্যক্ষ নিজেই সকল ঘুঁষ গ্রহনের ঘটনার নায়ক ও এক বছর পরে তিনি দূর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে চাকুরী হারানোর পর মোজাফ্ফর, মোজাম গংদের দিয়ে সভাপতির নামে নিউজ করে বাঁচার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অধ্যক্ষ যদিও আজ দাবী করেছেন যে, তিনি সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ করেন নাই, কিন্তু তার তিনদিন আগের দেয়া বক্তব্যের সাথে আজকের বক্তব্যের কোন মিল নাই। অর্থাৎ অধ্যক্ষ নুরল ইসলাম খোদাদাদ বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য দিয়ে ফেঁসে যাওয়া থেকে বাঁচার জন্য আজ আবারো চালাকীপূর্ন বক্তব্য দিলেন। সভাপতি অধ্যক্ষের বক্তব্যের বিপরীতে দাবী করেন যে, কোন ব্যক্তি যদি আমাকে টাকা প্রদানের প্রমান হাজির করতে পারেন, তাহলে তার দশগুন টাকা তিনি ঐ ব্যক্তিকে প্রদান করবেন। অধ্যক্ষের দুর্নীতির বিষয়ে অনেক নিউজ গত এক বছরে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান আছে, তিনি গত আওয়ামী সরকারের আমলে বিভিন্ন মিছিল মিটিং এ যোগ দিয়েছেন আওয়ামীপন্থী হিসাবে, এখন তিনি কখনো জামাত, কখনো বিএনপি হিসাবে জাহির করছেন। তিনি সব সময় শিক্ষকদের ভয় দেখিয়েছেন ও এখনো দেখিয়ে চলেছেন। তিনি ও মোজাফ্ফর দলবদলকারী বর্নচোরা চিটার প্রকৃতির মানুষ বলে এলাকাবাসির বক্তব্য। অধ্যক্ষ নুরল ইসলাম খোদাদাদ সভাপতির সেনাবাহীনির অফিসের জনৈক রবিউল ইসলাম কে হুমকি প্রদান করে বলেছেন যে, সভাপতি যদি বাঁচতে চায় তাহলে যেন মাদ্রাসায় আসে। না হলে তারে মেরে ফেলা হবে। তিনি দেশের অস্থির অবস্থার মধ্যে তার সিন্ডিকেট বাহিনী দিয়ে বড়থার জনৈক মিঠুর বাড়ী ভাঙচুর করে সব কিছু লুট করে নিয়ে গেছেন ও সকলের সামনে উল্লাস করে বলেছেন যে, মিঠু আজ কোথায়? এ সকল সন্ত্রাসী কাজে মোজাফ্ফর ও নুরল ইসলামের সরাসরি মদদ ও সংশ্লিষ্টতা আছে। মিঠু তাদের জন্য প্রানের ভয়ে পলাতক আছে।