প্রতারক মোজআফ্ফর এর বিরুদ্ধে প্রেস ব্রিফিং
নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার বড়থা গ্রামের মোজাফফর হোসেন নামের এক প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকালে উপজেলার বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি জনাব শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে সত্যের সন্ধানে এই প্রেস বিফ্রিং অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রকৌশলী জনাব শহিদুল ইসলাম বলেন যে, মোজাফ্ফর প্রতারক চক্র দৈনিক সমাজের আলো, দৈনিক দিন প্রতিদিন, দৈনিক কুষ্টিয়ার আলোসহ বেশ কয়েকটি প্রত্রিকায় ভুলভাল তথ্য দিয়ে “এক কোটি টাকা নিয়োগ বানিজ্য করার পর ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন সভাপতি শহিদুল” শিরোনামে প্রকাশিত ভুয়া নিউজ প্রকাশ করিয়েছে। আপনারা অবশ্যই অবগত আছেন যে, নাইট গার্ড, দপ্তরী কাম প্রহরী ও আয়া পদে আমার আগের সভাপতি ও অধ্যক্ষ নুরল ইসলাম খোদাদাদ অনেক আগেই নিয়োগ দিয়েছেন। তাহলে ঐ পদের বিপরীতে জনাব শহীদ যদি আগে টাকা কাউকে দিয়ে থাকে তাহলে তার দায়ভার তার নিজের কারন নিয়োগ পরীক্ষার দিন ডিজির প্রতিনিধি, ইউএনও এর প্রতিনিধি, ওসিসহ অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতেই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ও ডিজির প্রতিনিধিসহ সভাপতি ঐদিনই ঢাকায় চলে যান। মাজেদ নামের ব্যক্তি মাদ্রাসায় কর্মরত। তাহলে ঐ সকল নিয়োগের দায়ভার কিভাবে মিথ্যার আশ্রয়ে আমার নামে চালানো হচ্ছে, তা আমার ও আপনাদের ভেবে দেখার দরকার যা কিনা তাদের স্পষ্ট ছলচাতুরী বলে প্রতিয়মান হয়। দক্ষিন ভগবানপুরের শহীদ পত্রিকা অফিসে নিজেই বলে এসেছে যে, সে কোন টাকা সভাপতিকে দেয় নাই, এমনকি নিয়োগ পরীক্ষার আগে সভাপতির সাথে কোনদিন দেখা পর্যন্ত হয় নাই। অসংখ্য মানুষের থেকে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ একটা ভন্ডামীপূর্ন কথা, যার বিরুদ্ধে গত ১৬ তারিখে প্রতিবাদ ও তাদের সাক্ষাৎকার সহকারে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়েছে। মোজাফ্ফর নিজেই এলাকার চিহ্ণিত প্রতারক ও নিয়োগ বানিজ্যের সাথে জড়িত যা সকলের জানা। খবরের কাগজে আমার নামে ভন্ডামী কথাবার্তা বলে নিউজ প্রকাশ করলে, তার প্রতিবাদ করার অধিকার আমার আছে। খবরের কাগজের মাধ্যমে প্রতারকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাকে কেহ ভয়-ভীতি মনে করলে আমার কিছুই করার নাই। আওয়ামীলীগ নেতা তো দুরের কথা, গ্রাম পর্যায়ে কর্মীর তালিকায়ও আমার নাম নাই, আমি স্থানীয় কোন দলের সাথে যুক্ত নই, যা আপনারা অবগত আছেন। এখানে সংবাদ পত্রে তথ্য দেয়ার ব্যাপারে মোজাফ্ফর গং ভন্ডামীর আশ্রয় নিয়েছে, তারা নিজেরা ঠিক পাচ্ছে না যে, নিজেদের আওয়ামীলীগ পরিচয়ে রাখবে না বিএনপি, অন্যদের আওয়ামীলীগ বানাবে না বিএনপি / জামাত এর লাইসেন্স বিক্রির প্রতারনার নতুন ব্যবসা খুলে বসবে সকলের কাছে। তাদের নিজেদের অবস্থাই তো ঠিক নাই এখন। মোজাফ্ফর গং, অধ্যক্ষ নুরল ইসলাম খোদাদাদ, ভগবানপুরের শহীদসহ অনেকেই আওয়ামীলীগ করে এখন বিএনপি সেজে প্রতারনা করে যাচ্ছে, ছিনতাই করে বেড়াচ্ছে, যা সকলের জানা। প্রমান ছবিসহ সংরক্ষন করা আছে। মিঠুর বাড়ি লুট-তারাজ করে সব কিছু নিয়ে গেছে, এ বিষয়টা তারা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মিঠুর আওয়ামীলীগ করার সাথে আমার নাম জড়াচ্ছে। এতোগুলু সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাগুলোকে সত্য বলে তারা চালিয়ে যাচ্ছে, আমার কোন বক্তব্য না নিয়ে, আমার অনুমতি ছাড়া আমার ছবি দিয়ে নিউজ করেছে, আমার মোবাইল সব সময় চালু থাকলেও আমাকে কোন কল করা হয় নাই, আমি এলাকায় কোনদিন বসবাস করি না্, মাত্র নিয়োগের দিন ২৩/১২/২০২৩ইং সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত এক কোটি টাকা কোন দয়াবান মাদ্রাসায় দান করেছে, যা কিনা তাদের বক্তব্য অনুযায়ী আমি নিয়েছি, এটা সম্ভব কিনা, যা আপনাদের নিকট আবারো আমার জিজ্ঞাসা। তারা যে প্রতারনার উদ্দেশ্যে এসব শুরু করেছে তা সহজেই অনুমেয়, আমার নামে যা তা বলে তারা নিঃসন্দেহে আমার মানহানী করে যাচ্ছে। তারা এখন বিএনপি সেজে লুটতারাজ, চুরি, প্রতারনা করাসহ সকলকেই ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রতারনা, ছিনতাই, আওয়ামীলীগ করা, বিএনপি করা, ইত্যাদি ইত্যাদি গুনের কথা অলরেডি এলাকায় ভাইরাল চিত্র। তাদের প্রতারনার বিষয়ে, অনিয়মের বিষয়ে বহু নিউজ আগে প্রকাশিত হয়েছে যা আপনারা অবগত আছেন। মোজাফ্ফরকে সাংবাদিকগন প্রশ্ন করলে জানান যে, জনাব শহীদুল ইসলাম কোন নিয়োগ বানিজ্যের সাথে জড়িত নয় ও আমি জানি না, যা আপনারা অবগত আছেন। তাহলে কেন সাংবাদিকদের ভুলভাল তথ্য দিয়ে ভূয়া নিউজ প্রকাশ করা হচ্ছে? তাদের বিরুদ্ধে তথ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করা হবে, তাদের কি ডকুমেন্টস আছে, সেখানে তারা জবাব দিয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী। তাদের বিরুদ্ধে আমি মানহানী মামলা করবো ইনশাল্লাহ।