সুমন খান:
এইভাবে নগরীতে কেউ রাস্তা-ফুটপাতের ময়লা পরিষ্কার করছেন। কেউ বা সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছেন। তবে এরা কেউ পরিচ্ছন্নকর্মী বা ট্রাফিক পুলিশ নন। এরপরও শহরের সৌন্দর্য বাড়াতে এবং সড়কের শৃঙ্খলা নিশ্চিতে কাজ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের এ কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন সাধারণ লোকজন।শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সহযোগিতা করছেন বিএনসিসি সহ নানান সমাজসেবী সংগঠন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর সোমবার (৫ আগস্ট) দেশ ছেড়ে পালান সাবেক শেখ হাসিনা সরকার। এরপর ভেঙে পড়ে চট্টগ্রাম শহরের দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা। রাস্তায় দেখা যায়নি কোনো ট্রাফিক পুলিশ। এ অবস্থায় সড়কের শৃঙ্খলা নিশ্চিতে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে মাঠে নামে শিক্ষর্থীরা। রাজধানী , মিরপুর ,১ থেকে এবং ১০ নম্বর গোলচক্করে, মিরপুর- মোড়, ইসিবি চত্বর , কালশিমোর , রাইনখোলা , গাবতলীসহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছাত্ররা যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছেন। তারা যেখানে-সেখানে যাত্রীবাহী গাড়ি দাঁড়াতে দিচ্ছে না। কারো রাস্তা পার হতে সমস্যা হলে গাড়ি থামিয়ে পারও করে দেন। মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট না থাকলে পরবর্তীতে হেলমেট পরার পরামর্শ দেন। কেউ কেউ ময়লা-আবর্জনা কুড়িয়ে কালো ও সাদা রঙের বড় আকারের কিছু বস্তায় ঢোকাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ঝাড়ু দিয়ে রাস্তার ধুলাবালু পরিষ্কার করছেন। সবার হাতেই গ্লাভস, মুখে মাস্ক ছিল।