মিডিয়াকে ভুলভাল তথ্য দেওয়ায় প্রতারক মোজাফফর, অধ্যক্ষ নূরল ইসলাম খোদাদাদ গংদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ক্ষোভ প্রকাশ
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার বড়থা গ্রামের মোজাফফর হোসেন, নুরুল ইসলাম খোদাদাদ সহ তাদের প্রতারক চক্র উপজেলার বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি জনাব শহীদুল ইসলামের নামে এক কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্য করার অপপ্রচার ও নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মিডিয়াকে বিভ্রান্ত করার জন্য মোজাফফর হোসেন, নুরুল ইসলাম খোদাদাদ চক্রের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সাংবাদিক নেতারা। অনুসন্ধানী রিপোর্টে দেখা যায় বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসায় নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে নুরুল ইসলাম খোদাদাদ, মোজাফফর হোসেন, সহ-সভাপতি বাবলু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন সিন্ডিকেট করে অনেক লোকের কাছ থেকে ৩২ বছর ধরে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছে ও মাদ্রাসাটাকে পঙ্গু বানিয়ে মিডিয়াকে ভুয়া তথ্য দিয়ে সম্মানিত ব্যক্তি, অসহায় মানুষের বন্ধু এলাকার অসহায় মানুষের অভিভাবক, বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি প্রকৌশলী জনাব শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনেছে তারা। ১। জনাব শহীদুল ইসলাম কখনোই এ মাদ্রাসার সভাপতি হতে চান নাই, তাকে ১০০ বার অনুরোধ করে ফুসলিয়ে এই গ্রামের মাদ্রাসার দেখভালের কথা বলে রাজী করিয়ে কোন নির্বাচন ছাড়া কৌশলে সভাপতি বানায় এই সিন্ডিকেট। ২। সভাপতি নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি লক্ষ্য করেন যে, মাদ্রাসার জমি, অর্থ সব কিছু আত্মসাৎ করে বসে আছে ঐ সিন্ডিকেট। ৩। তিনি পদত্যাগ করতে চাইলে, ঐ প্রুপ কৌশলে তাকে আবার রাজী করান যে, আমরা অসহায়, আপনি আমাদের অভিভাবক। ৪। তার পর ঐ গ্রুপ কৌশলে জনাব শহীদুল থেকে মাদ্রাসার নামে দানের কথা বলে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে। ৫। তারা একই সাথে বিভিন্ন অনিয়ম করে এলাকায় ঘুঁষ গ্রহনের মাধ্যমে নৈরাজ্য তৈরী করে। ৬। এবিষয়ে জনাব শহীদুল তৎকালীন সংসদ সদস্যসহ সমাজের বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিদের নজরে আনেন ঐ গ্রুপের অনিয়মের কথা ও বিরক্ত হয়ে এ পর্যন্ত চার বার অধ্যক্ষ নূরল ইসলাম খোদাদাদকে শোকজ করেন, যা ইতিপূর্বে কোন সভাপতি করেন নাই। ৭। অধ্যক্ষ নুরল ইসলাম খোদাদাদ কখনোই কোন শোকজের জবাব দেয়ার ধার ধারেন নাই। ৮। অধ্যক্ষ নুরল ইসলাম খোদাদাদ গত আড়াই বছর ধরে মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থেকেছেন। ৯। লোকজন তাকে জিজ্ঞাসা করলেই বলতেন যে, সভাপতির নির্দেশে সব চলছে, সভাপতির নির্দেশে তিনি সভাপতির সাথে ঢাকায় আছেন ও প্রতিষ্ঠানের কাজ করছেন। এই মিথ্যা কথাগুলো বলে বলে এলাকায় সকলের মনে বিশ্বাস স্থাপন করে নিয়েছেন যে, নিশ্চয় সভাপতি সব জানেন। আসলে সভাপতি ঢাকায় থাকায় এলাকার লোকজন বা সভাপতি কেহই তাদের আসল কারচুপির কিছুই জানেন না। পক্ষান্তরে নুরল ইসলাম গ্রুপ ততোদিনে সব কিছু কৌশলে সভাপতির মাথায় ঢেলে দিয়েছেন। ১০। এলাকার সংসদ সদস্য নিয়োগে তার মনোনিত প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে বলায় ও অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় সভাপতি নিয়োগ বোর্ড বাতিল করে দেন ও সহ-সভাপতিকে নিয়োগ বোর্ড থেকে বহিস্কার করেন। ১১। ২৩/১২/২০২৩ ইং তারিখে পূনরায় নিয়োগ বোর্ডের দিন নির্ধারিত হলে, ডিজির প্রতিনিধি ও সভাপতি বেলা ১০ টায় প্রতিষ্ঠানে যান ও ২ টা পর্যন্ত ডিজির প্রতিনিধি নিজে প্রশ্নপত্র তৈরী করে সকল লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহন করেন, যেখানে ৪৭ জন্ প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে, থানার ওসি, এসবি কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন সেখানে। বেলা ২ টায় রেজাল্ট শীট ঝুলানোর পর ডিজির প্রতিনিধি ও সভাপতি ঐদিনই ঢাকায় চলে যান। সভাপতি শুধু চুড়ান্ত রেজাল্ট শীটে সকলের সামনেই ডিজির প্রতিনিধি ও অন্যান্য বোর্ড সদস্যরা সই করার পর সই করেন। সকলেই ঐ দিন দেখেছেন যে, সভাপতি ব্যক্তিগতভাবে কারো সাথে কথা বলেন নাই, কারো বাসায় যান নাই, পরীক্ষার হলেও যান নাই। কেহই সভাপতিকে এক টাকাও দেন নাই, সভাপতিও কাউকে এক টাকা দেন নাই। তার পর তিন মাস অতিবাহিত হলেও কোন পত্রিকায় কোন নিউজ প্রকাশিত হয় নাই ঐ নিয়োগ নিয়ে। ১২। অধ্যক্ষ নুরল ইসলাম গ্রুপ সভাপতি জনাব শহীদুলের কার্যকালের অনেক আগেই নাইট গার্ড, আয়া, দপ্তরী ও বিভিন্ন পদে আগের সাভপতির আমলে নিয়োগ সম্পন্ন করেছেন গোপনে যার নিয়োগ পরীক্ষা বড়থা মাদ্রাসায় সভাপতি জনাব শহীদুল ইসলামের সময়ের মতো বড়থা মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয় নাই।ঐ সকল নিয়োগের দায়ভারও অধ্যক্ষ গ্রুপ জনাব শহীদুলের নামে চাপিয়েছেন। ১৩। অধ্যক্ষ নিয়োগ বোর্ড পরিচালনার সময় অধ্যক্ষ যে কোর্টে অভিযু্ক্ত ওয়ারেন্টের আসামী তা গোপন করে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি জেল হাজতে যান ও সাময়ীকভাবে নিয়মমাফিক বরখাস্ত হন। তার পর অধ্যক্ষ প্রায় আট মাস মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকায় নিয়মমাফিক পূর্নাঙ্গ বরখাস্ত হন। এখনো তিনি পূর্নাঙ্গ বরখাস্ত অবস্থায় আছেন। ১৪। অধ্যক্ষ আওয়ামীলীগ শাসন আমলে তৎকালিন সংসদ সদস্যের ছত্রছায়ায় নিজেকে আওয়ামী নেতা পরিচয় দিয়ে আওয়াগীলীগের বিভিন্ন সভা-সমাবেসে যোগ দিয়ে নিজেকে শক্তিশালী প্রমান করে আরো তিরিশ, চল্লিশ লক্ষ টাকা এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ঘুঁষ গ্রহন করেন জেল খাটার আগে পরে। যেহেতু ঐ একটি নিয়োগের ২৩/১২/২০২৩ তারিখ এর পর সভাপতি এলাকায় আসেন না ও তাদের অনিয়ম ও ঘুঁষ গ্রহনের কারনে নূরল ইসলাম খোদাদাদের বিরুদ্ধে সকল তথ্য-প্রমান সহকারে ঐ বিষয়ে সকল শোকজের কপি সহ মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপিরচালক, বোর্ডের চেয়ারম্যান, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা প্রশাসক, জেলা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা প্রশাসনকে জনাব সভাপতি লিখিতভাবে কয়েকবার অবহিত করেন। ১৪। উপজেলা প্রশাসন থেকে তদন্ত করে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সকল অনিয়মের সত্যতা পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেন। ১৫। পাঁচ-ছয় মাস পর থেকে যখন অধ্যক্ষ দেখতে পান যে, তার সকল অনিয়মের জন্য সভাপতি গত আড়াই বছর ধরে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে গেছেন, তখন এলাকার মানুষের মাঝে সহজেই প্রতিষ্ঠা করে ফেলেন যে, সভাপতির নির্দেশে সব কিছু করেছেন, সকল টাকা সভাপতিকে দিয়েছেন। সভাপতি এলাকায় না থাকায় সহজেই তিনি চারদিকে এসব রটিয়ে সভাপতির নামে কুৎসা রটনা করে চলেছেন আজো, কিন্তু সত্যিকার অর্থে সভাপতিকে এক টাকা দেয়ার কোন প্রমান তিনি কোন মিডিয়াকে দিতে পারেন নাই আজো, কাউকেই প্রমান দিতে পারেন নাই। বরং অধ্যক্ষের অর্থ প্রতারনার অসংখ্য প্রমান(লিখিতভাবে টাকা গ্রহনের) এলাকার বিভিন্ন জনের কাছে আছে। অধ্যক্ষের অনিয়মের কথা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে,এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মাহিদুল হাসান বলেন যে, প্রতারক মোজাফফর, নুরুল ইসলাম খোদাদাদ, বাবলু মিয়া সহ তাদের প্রতারক চক্র কৌশলে সাংবাদিকদের ভুলভাল তথ্য দিয়ে মিডিয়ার মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, বাংলাদেশ ক্রাইম সাংবাদিক সংগঠন নওগাঁ জেলা সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যেই আপনারা দেখেছেন উপজেলার বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার অসংখ্য প্রতিবাদ নিউজ প্রকাশ করা হয়েছে এবং অনুসন্ধানী রিপোর্ট করা হয়েছে এই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে তারা আমাদের জুনিয়রদের কিছু অর্থ লোভ দেখিয়ে মিথ্যা ভুলভাল তথ্য দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মোজাফফর সহ যারা জড়িত আছে অবিলম্বে খুব দ্রুত সাংবাদিকদের কাছে এবং এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, না হলে খুব দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে, সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব নওগাঁ জেলার সহ-সভাপতি কিবরিয়া বলেন অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খোদাদাদ ও মোজাফফর হোসেন সহ যারা প্রকৌশলী জনাব শহিদুল ইসলামের নামে, এই ভুলভাল তথ্য দিয়েছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিডিয়া এবং এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, তা না হলে তাদেরকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে, ধামইরহাট প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক শাকিল হোসেন, বলেন বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খোদাদাদ একজন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সন্ত্রাস বাহিনীর ক্যাডার হিসেবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের পরিচয় দিয়ে এলাকার স্থানীয় অসহায় মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছে, এখন সাধু সাজে সভাপতি শহিদুল ইসলামের নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে, একে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।